আপনার কাছে যদি মনে হয় প্রশ্নটি অধ্যায় অনুযায়ী সঠিক নয় তাহলে সঠিক অধ্যায় ও প্রশ্নটি অথবা কোন প্রকার ভুল থাকলে আমাদের কে জানান ইমেইল করে kabirdepart@gmail.com
∎কল্লোল পত্রিকা:
১৯২৩ সারে প্রবর্তিত কল্লোল পত্রিকার কর্ণধার ছিলেন দীনেশরঞ্জন দাশ ও গোকুলচন্দ্র নাগ। কল্লোল পত্রিকার আবহে দ্রুত অনুপ্রাণিত হয় প্রগতি, উত্তরা, কালিকলম, পূর্বাশা ইত্যাদি পত্রপত্রিকা। অন্যদিকে আধুনিকতার নামে যথেচ্ছাচারিতা ও অশ্লীলতার প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে এই রকম অভিযোগ এনে শনিবারের চিঠি পত্রিকাটি ভিন্ন বলয় গড়ে তোলে মোহিতলাল মজুমদার, সজনীকান্ত দাস, নীরদ চৌধুরী প্রমুখের সক্রিয় ভূমিকায়।
∎হাসান হাফিজুর রহমান:
# হাসান হাফিজুর রহমান সাপ্তাহিক বেগম পত্রিকায় ১৯৫২ সালে তিনি তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর তিনি একাধারে সওগাত (১৯৫৩), ইত্তেহাদ (১৯৫৫-৫৪) ও দৈনিক পাকিস্তান (১৯৬৫) এ সহকারী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং স্বাধীনতার পর দৈনিক বাংলায় সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি নিযুক্ত হন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি ১৯৫৭-১৯৬৪ সাল পর্যন্ত জগন্নাথ কলেজে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন। এছাড়াও তিনি ১৯৭৩ সালে মস্কোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রেস কাউন্সিলর পদে দায়িত্ব পালন করেন।
# ১৯৪৬ সালে তিনি যখন স্কুলছাত্র তখন তার ছোট গল্প “অশ্রুভেজা পথ চলাতে” প্রকাশিত হয় সওগাত পত্রিকায়। এরদুবছর পর সোনার বাংলায় তার প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় অবদান রাখেন। একুশের চেতনার ওপর ভিত্তি করে তাঁর কবিতা অমর একুশে প্রকাশিত হয় ১৯৫২ সালেই। এটিসহ আরোও কিছু লেখা একত্র করে ১৯৫৩ সালে তিনি তার প্রথম বই একুশে ফেব্রুয়ারী প্রকাশ করেন।
∎সবুজপত্র পত্রিকার সম্পাদক --প্রমথ চৌধুরী।
∎গ্রামবার্তা প্রকাশিকা উনিশ শতকের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাসিক পত্রিকা। ১৮৬৩ সালের এপ্রিল মাসে কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের সম্পাদনায় এটি প্রথম প্রকাশিত হয়। পরের বছর (১২৭১ বঙ্গাব্দের আষাঢ়) থেকে এটি পাক্ষিক এবং ১৮৭১ সাল (১২৭৮ বঙ্গাব্দের বৈশাখ) থেকে সাপ্তাহিকে পরিণত হয়। প্রথমদিকে পত্রিকাটি মুদ্রিত হতো কলকাতার গিরিশ বিদ্যারত্ন প্রেস থেকে; পরে ১৮৬৪ সালে কুমারখালিতে মথুরানাথ যন্ত্র স্থাপিত হলে সেখান থেকে মুদ্রিত হতে থাকে। এ ছাপাখানাটি ১৮৭৩ সালে প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়র পিতা মথুরানাথ মৈত্রেয় হরিনাথকে দান করেন।
∎১৮৩১ সালে প্রকাশিত 'জ্ঞানান্বেষণ' পত্রিকার প্রকাশক -দক্ষিণারঞ্জণ মিত্র।
সমাচার দর্পণ হল প্রথম বাংলা সংবাদপত্র। পত্রিকাটি ছিল সাপ্তাহিক। ১৮১৮ খ্রীষ্টাব্দের ২৩ মে তারিখে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়। সম্পাদক ছিলেন জন ক্লার্ক মার্শম্যান। কিন্তু তিনি ছিলেন নামেমাত্র সম্পাদক । বাঙালি পণ্ডিতরাই আসলে সমাচারদর্পণ সম্পাদনা করতেন। পত্রিকাটি ধর্মীয় বির্তকে না জড়িয়ে খ্রিস্টান মতবাদের প্রতি পক্ষপাত দেখাত।
পরবর্তীকালে এই পত্রিকাটি সপ্তাহে দুবার করে প্রকাশিত হতে থাকে। জয়গোপাল তর্কালঙ্কার বাংলা সংবাদ রচনা ও সঙ্কলনে সম্পাদকের সহায়ক ছিলেন বলে তা উন্নতমানের সংবাদপত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে সমর্থ হয়েছিল। সংবাদ, ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক বিষয়াদির বিবরণ এই পত্রিকায় স্থান পেত। সে আমলে প্রগতিশীল পত্রিকা হিসেবে এর বিশেষ গুরুত্ব ছিল। ১৮৪১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত পত্রিকাটি অস্তিত্ব রক্ষা করেছিল। তবে পরেও কয়েকবার এই পত্রিকা পুনঃপ্রকাশিত হয়েছিল।
সমাচারদর্পনের মত সাময়িকপত্রের মধ্যে দিয়ে শিক্ষিত বাঙালি প্রথম গদ্যরচনার রস গ্রহণ করতে শেখে। তখনকার বাংলা সাহিত্য বলতে সবই পদ্য রচনা ছিল। সমাচারদর্পনের প্রকাশ হবার ফলে পাঠকের সংখ্যা বাড়তে লাগল এবং আরো সাময়িকপত্রের চাহি
কল্লোল মূলত একটি সাহিত্য পত্র যা অবিভক্ত ব্রিটিশ ভারতের কলকাতা থেকে প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে। কল্লোল ১৯২৩ থেকে ১৯৩৫ খ্রীস্টাব্দের ভেতরে সংগঠিত প্রভাবশালী বাংলা সাহিত্য বিপ্লবের সমনামিক। । কল্লোল নব্য লেখকদের প্রধান মুখপাত্র ছিল যাঁদের অন্যতম ছিলেন প্রেমেন্দ্র মিত্র, কাজী নজরুল ইসলাম, বুদ্ধদেব বসু। অনান্য সাময়িক পত্রিকা যেগুলো কল্লোল পত্রিকা কে অনুসরণ করে সেগুলো হলো – উত্তরা (১৯২৫), প্রগতি (১৯২৬), কালিকলম (১৯২৬) এবং পূর্বাশা (১৯৩২)।১৯২১ খ্রিস্টাব্দে গোকুলচন্দ্র নাগ, দীনেশরঞ্জন দাশ, সুনীতা দেবী এবং মনীন্দ্রলাল বসু প্রমুখ কলকাতার হাজরা রোডে “চার শিল্পীর গোষ্ঠী” নামে একটি আড্ডার সূচনা করেন, সাহিত্য, ললিত কলা, সংগীত ও নাটক সৃষ্টি ও চর্চার জন্য। প্রথমে চার সদস্য একটি ছোটগল্পের সংকলন বের করেন ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে , নাম “ঝড়ের দোলা”। দীনেশরঞ্জন দাশ এবং গোকুলচন্দ্র নাগ এরপর ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে একটি সাময়িক পত্র বের করেন, নাম দেন কল্লোল। প্রতিদিন সাহিত্য আলোচনার আড্ডার জন্য দিনেশচন্দ্রের পটুয়াতলা লেনের বাড়ীটি নির্দিষ্ট ছিল।
কল্লোল মূলত একটি সাহিত্য পত্র যা অবিভক্ত ব্রিটিশ ভারতের কলকাতা থেকে প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে। কল্লোল ১৯২৩ থেকে ১৯৩৫ খ্রীস্টাব্দের ভেতরে সংগঠিত প্রভাবশালী বাংলা সাহিত্য বিপ্লবের সমনামিক। । কল্লোল নব্য লেখকদের প্রধান মুখপাত্র ছিল যাঁদের অন্যতম ছিলেন প্রেমেন্দ্র মিত্র, কাজী নজরুল ইসলাম, বুদ্ধদেব বসু। অনান্য সাময়িক পত্রিকা যেগুলো কল্লোল পত্রিকা কে অনুসরণ করে সেগুলো হলো – উত্তরা (১৯২৫), প্রগতি (১৯২৬), কালিকলম (১৯২৬) এবং পূর্বাশা (১৯৩২)।
১৯২১ খ্রিস্টাব্দে গোকুলচন্দ্র নাগ, দীনেশরঞ্জন দাশ, সুনীতা দেবী এবং মনীন্দ্রলাল বসু প্রমুখ কলকাতার হাজরা রোডে “চার শিল্পীর গোষ্ঠী” নামে একটি আড্ডার সূচনা করেন, সাহিত্য, ললিত কলা, সংগীত ও নাটক সৃষ্টি ও চর্চার জন্য। প্রথমে চার সদস্য একটি ছোটগল্পের সংকলন বের করেন ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে , নাম “ঝড়ের দোলা”। দীনেশরঞ্জন দাশ এবং গোকুলচন্দ্র নাগ এরপর ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে একটি সাময়িক পত্র বের করেন, নাম দেন কল্লোল। প্রতিদিন সাহিত্য আলোচনার আড্ডার জন্য দিনেশচন্দ্রের পটুয়াতলা লেনের বাড়ীটি নির্দিষ্ট ছিল।
বাংলা ভাষায় প্রথম সাময়িক পত্র দিগদর্শন মাসিক হিসেবে ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে জোশুয়া মার্শম্যানের পুত্র জন ক্লার্ক মার্শম্যানের সম্পাদনায় হুগলি জেলার শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন থেকে প্রকাশিত হয়। 'যুবলোকের কারণ সংগৃহীত নানা উপদেশ' এই পত্রিকায় অন্তর্ভুক্ত হত। এতে ভূগোল, ইতিহাস, দেশবিদেশের জ্ঞাতব্য তথ্য, কৌতুককর অথবা বিস্ময়জনক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাহিনী সহজ ভাষায় পরিবেশিত হত বলে তা স্কুল বুক সোসাইটির বিদ্যালয়সমূহে পাঠ্যপুস্তকরূপে প্রচলিত ছিল।
সংবাদ অপেক্ষা ধর্মীয় নীতিকথা ও শিক্ষার্থদের উদ্দেশ্যে তথ্য পরিবেশনই এখানে পাধান্য পেতো। ২৬টি সংখ্যা প্রকাশিত হওয়ার পর এই পত্রিকা বন্ধ হয়ে যায়। নীতি ও ধর্ম শিক্ষা প্রচার করায় তৎকালীন সরকার এই পত্রিকার উপর সদয় ছিল। সে অর্থে দিকদর্শন পত্রিকা ছিল না, ছিল নীতি-ধর্ম-তত্ত্বমূলক মাসিক সাময়িকপত্র।
সংবাদ প্রভাকর বাংলা সাময়িক পত্রের ইতিহাসের এক নতুন যুগের উন্মেষ ঘটায়। এই পত্রিকাটি ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দের ১৪ জুন তারিখে সাপ্তাহিক হিসেবে প্রথম প্রকাশিত হয় এবং
বঙ্গদর্শন পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। এটি ১৮৭২ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়।
বাংলা সাহিত্য কথ্যরীতি প্রচলনে সবুজপত্র পত্রিকার অবদান বেশি। বাংলা সাহিত্য চলিত ভাষারীতির প্রথম মুখপত্র ''সবুজপত্র'' পত্রিকা ১৯১৪ সালে প্রমথ চৌধুরীর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়।
কল্লোল প্রকাশিত হয়- ১৯২৩ সালে। কল্লোল পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন দীনেশ রঞ্জন দাস। কল্লোল পত্রিকাটি ১৯২৩ সাল থেকে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত সচল ছিল।
বাংলা সাহিত্য কথ্যরীতি প্রচলনে সবুজপত্র পত্রিকার অবদান বেশি। বাংলা সাহিত্য চলিত ভাষারীতির প্রথম মুখপত্র ''সবুজপত্র'' পত্রিকা ১৯১৪ সালে প্রমথ চৌধুরীর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। ‘সবুজ পত্র’ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিশেষ উল্লেখযোগ্য পত্রিকা হিসেবে পরিচিত।
সংবাদ প্রভাকর বাংলা সাময়িক পত্রের ইতিহাসের এক নতুন যুগের উন্মেষ ঘটায়। এই পত্রিকাটি ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দের ১৪ জুন তারিখে সাপ্তাহিক হিসেবে প্রথম প্রকাশিত হয় এবং ১৮৩৯ সালে দৈনিক পত্রিকায় পরিণত হয়। এটি বাংলা ভাষার প্রথম দৈনিক পত্রিকা। এর প্রকাশক এবং সম্পাদক কবিগুরু ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের তৎকালীন অনেক কবি-সাহিত্যিকের প্রতিভার স্ফুরণ এই পত্রিকার অবলম্বনেই ঘটেছিল। ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত অতীতের লুপ্তপ্রায় কবি ও কাব্য আলোচনার সূত্রপাত করেন সংবাদ প্রভাকরে। এক সময় প্রতিমাসে এর একটি মাসিক সংস্করণ প্রকাশ পেত। এ পত্রিকাটিকে কেন্দ্র করে সেকালে একটি লেখকচক্র গড়ে উঠে। স্বদেশ, সমাজ ও সাহিত্য সংক্রান্ত বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনা এই পত্রিকাতেই প্রথম প্রকাশিত হতে থাকে। পত্রিকাটিতে সামাজিক ও সাময়িক আন্দোলনের খবরাখবর থাকলেও তার সঙ্গে সাহিত্যরসের কোন অভাব ছিল না।
সুধাকর কলকাতা থেকে ১৮৮৯ সালের ৮ নভেম্বর (১২৯৬ বঙ্গাব্দের ২৩ কার্তিক) প্রকাশিত একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা। রেয়াজুদ্দীন আহমদ, মোহাম্মদ রেয়াজউদ্দীন আহমদ ও শেখ আবদুর রহিমের প্রচেষ্টায় এটি প্রকাশিত হয় এবং এর প্রথম সম্পাদক ছিলেন শেখ আবদুর রহিম (মতান্তরে মোহাম্মদ রেয়াজউদ্দীন আহমদ)।পত্রিকা প্রকাশের লক্ষ ও উদ্দেশ্য ছিল মুসলমানদের অতীত গৌরব ও ইসলামের মাহাত্ম্য প্রচার করা। এক পর্যায়ে এটি মিহির ও সুধাকর নামে প্রকাশিত হয়। খ্রিস্টান মিশনারিদের পরিচালিত খ্রিস্টীয় বান্ধব পত্রিকার সঙ্গে সুধাকরের ধর্মবিষয়ে বহু বিতর্ক হয়; এমনকি গো-হত্যার ব্যাপারে টাঙ্গাইলের মৌলবি নইমুদ্দীনের পক্ষে এবং মীর মশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে এটি প্রচারাভিযান চালায়। ধর্ম, সমাজ, ইতিহাস, ঐতিহ্য ইত্যাদি ছাড়াও সাহিত্যবিষয়ক মৌলিক রচনাও এতে প্রকাশিত হতো। ১৯১০ সাল পর্যন্ত এর প্রকাশনা অব্যাহত ছিল। [ওয়াকিল আহমদ]
সুধাকর কলকাতা থেকে ১৮৮৯ সালের ৮ নভেম্বর (১২৯৬ বঙ্গাব্দের ২৩ কার্তিক) প্রকাশিত একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা। রেয়াজুদ্দীন আহমদ, মোহাম্মদ রেয়াজউদ্দীন আহমদ ও শেখ আবদুর রহিমের প্রচেষ্টায় এটি প্রকাশিত হয় এবং এর প্রথম সম্পাদক ছিলেন শেখ আবদুর রহিম (মতান্তরে মোহাম্মদ রেয়াজউদ্দীন আহমদ)।পত্রিকা প্রকাশের লক্ষ ও উদ্দেশ্য ছিল মুসলমানদের অতীত গৌরব ও ইসলামের মাহাত্ম্য প্রচার করা। এক পর্যায়ে এটি মিহির ও সুধাকর নামে প্রকাশিত হয়। খ্রিস্টান মিশনারিদের পরিচালিত খ্রিস্টীয় বান্ধব পত্রিকার সঙ্গে সুধাকরের ধর্মবিষয়ে বহু বিতর্ক হয়; এমনকি গো-হত্যার ব্যাপারে টাঙ্গাইলের মৌলবি নইমুদ্দীনের পক্ষে এবং মীর মশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে এটি প্রচারাভিযান চালায়। ধর্ম, সমাজ, ইতিহাস, ঐতিহ্য ইত্যাদি ছাড়াও সাহিত্যবিষয়ক মৌলিক রচনাও এতে প্রকাশিত হতো। ১৯১০ সাল পর্যন্ত এর প্রকাশনা অব্যাহত ছিল। [ওয়াকিল আহমদ]
ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সম্পাদিত পত্রিকার নাম--আঙ্গুর। এটি একটি কিশোর পত্রিকা। প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২০ সালে।
১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দের ২রা ডিসেম্বর কলকাতা থেকে, এটি প্রথমে মাসিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল। এর সম্পাদক ছিলে মোহাম্মদ নাসিরুদ্দিন। সে সময় এই পত্রিকাকে কেন্দ্র করে কলকাতায় একটি সাহিত্য চক্র গড়ে উঠে। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে কিছুদিন পত্রিকা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে পুনরায় প্রকাশিত হয়।
১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে নাসিরুদ্দিন ‘সওগাত সাহিত্য মজলিস’ নামে একটি সাহিত্য সংগঠন গড়ে তোলেন। সে সময়ের সওগাত পত্রিকায় কাজী নজরুল ইসলাম , বেগম রোকেয়া, শামসুন্নাহার মাহমুদ, বেগম সুফিয়া কামাল প্রমুখের লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হত। ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দে মাসিক 'সওগাতে' 'জানানা মহল' নামে প্রথম মহিলাদের জন্য একটি বিভাগ চালু করেন।
মোসলেম ভারত মাসিক সাহিত্য সাময়িকী হিসেবে ১৯২০ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়। পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে শান্তিপুরের কবি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হকের নাম মুদ্রিত হলেও প্রকৃতপক্ষে এর যাবতীয় কর্মকান্ড পরিচালিত হতো তাঁর পুত্র এবং নির্বাহী সম্পাদক আফজালুল হক কর্তৃক। পত্রিকার প্রথম সংখ্যা ১৩২৭ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে (এপ্রিল-মে, ১৯২০) এবং সর্বশেষ সংখ্যা ১৩২৮ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে (ডিসেম্বর-জানুয়ারি, ১৯২১-২২) প্রকাশিত হয়। এর বর্ণবহুল প্রচ্ছদে ঐতিহ্যবাহী ইসলামি শিল্পকলা তুলে ধরা হতো।
পল্লীকবি জসীমউদ্দিন কলেজে পড়ার সময় ''কবর'' কবিতা রচনা করেন। ''কবর'' কবিতা প্রথম প্রকাশিত হয় কল্লোল পত্রিকায়।
বঙ্গদর্শন ঊনিশ শতাব্দীতে প্রকাশিত একটি বাংলা মাসিক সাহিত্য পত্রিকা বা সাময়িকপত্র। এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন বাংলা কথাসাহিত্যের অন্যতম স্থপতি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।১২৭৯ বঙ্গাব্দের ১লা বৈশাখ (১৮৭২ খৃস্টাব্দ) তারিখে মাসিক বঙ্গদর্শন পত্রিকার প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়। সে সময় বাংলা দেশে কোন উন্নতমানের সাময়িক পত্র ছিল না। ১২৭৯ বঙ্গাব্দের বৈশাখ থেকে ১২৮২ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাস অবধি এর সম্পাদক ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। ১২৮৩ বঙ্গাব্দে এর প্রকাশ স্থগিত থাকে। ১২৮৪ বঙ্গাব্দ থেকে পত্রিকাটি পুনঃপ্রকাশিত হয় সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সম্পাদনায়। শ্রীশচন্দ্র মজুমদার ১২৯০ বঙ্গাব্দের কার্তিক থেকে মাঘ পর্যন্ত ৪টি সংখ্যার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৩০৮ বঙ্গাব্দ থেকে ১৩১২ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্পাদনায় বঙ্গদর্শন নবপর্যায়ে ৫ বৎসর প্রকাশিত হয়।
সুধাকর কলকাতা থেকে ১৮৮৯ সালের ৮ নভেম্বর (১২৯৬ বঙ্গাব্দের ২৩ কার্তিক) প্রকাশিত একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা। রেয়াজুদ্দীন আহমদ, মোহাম্মদ রেয়াজউদ্দীন আহমদ ও শেখ আবদুর রহিমের প্রচেষ্টায় এটি প্রকাশিত হয় এবং এর প্রথম সম্পাদক ছিলেন শেখ আবদুর রহিম (মতান্তরে মোহাম্মদ রেয়াজউদ্দীন আহমদ)।পত্রিকা প্রকাশের লক্ষ ও উদ্দেশ্য ছিল মুসলমানদের অতীত গৌরব ও ইসলামের মাহাত্ম্য প্রচার করা। এক পর্যায়ে এটি মিহির ও সুধাকর নামে প্রকাশিত হয়। খ্রিস্টান মিশনারিদের পরিচালিত খ্রিস্টীয় বান্ধব পত্রিকার সঙ্গে সুধাকরের ধর্মবিষয়ে বহু বিতর্ক হয়; এমনকি গো-হত্যার ব্যাপারে টাঙ্গাইলের মৌলবি নইমুদ্দীনের পক্ষে এবং মীর মশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে এটি প্রচারাভিযান চালায়। ধর্ম, সমাজ, ইতিহাস, ঐতিহ্য ইত্যাদি ছাড়াও সাহিত্যবিষয়ক মৌলিক রচনাও এতে প্রকাশিত হতো। ১৯১০ সাল পর্যন্ত এর প্রকাশনা অব্যাহত ছিল।
মাসিক মোহাম্মদী অবিভক্ত ব্রিটিশ ভারতে মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ কর্তৃক ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত মাসিক পত্রিকা। তিনি ছিলেন এ পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। বাংলা, আসাম ও বার্মার মুসলমানদের কাছে এ পত্রিকাটি বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করে । পরবর্তী কালে দৈনিক মোহাম্মদী ও সাপ্তাহিক মোহাম্মদী পত্রিকাদ্বয় প্রকাশিত হয়। বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে ব্রিটিশ খেদাও আন্দোলনে এবং, বিশেষ করে হিন্দু আধিপত্যবাদী আচরণের মুখে, মুসলমানদের গোষ্ঠীগত স্বার্থ রক্ষায় এই পত্রিকাটি দুদর্মনীয় ভূমিকা পালন করেছিল।
ঢাকা থেকে প্রকাশিত বাংলা সাহিত্য গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পত্রিকা হল-- শিখা, প্রগতি, ক্রান্তি, লোকায়ত।
বাংলা ভাষায় প্রথম প্রকাশিত দৈনিক সংবাদপত্র ''সংবাদ প্রভাকর''। পত্রিকাটি সাপ্তাহিকরূপে প্রথম আত্মপ্রকাশ করে ১৮৩১ সালে। ১৮৩৯ সালে এটি পরিণত হয় দৈনিক পত্রিকায়। এই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ রচনা ''শ্রীকান্ত''। উপন্যাসটি ৪টি পর্বে রচিত। এটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস। এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র--রাজলক্ষী, শ্রীকান্ত, ইন্দ্রনাথ, অভয়া, কমললতা, সুনন্দা।
অপরাজেয় কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্রের দ্বিতীয় সাহিত্যকর্ম ''বড়দিদি' প্রকাশিত হয় ভারতী পত্রিকায়।
বাংলা ভাষায় প্রথম প্রকাশিত দৈনিক সংবাদপত্র ''সংবাদ প্রভাকর''। পত্রিকাটি সাপ্তাহিকরূপে প্রথম আত্মপ্রকাশ করে ১৮৩১ সালে। ১৮৩৯ সালে এটি পরিণত হয় দৈনিক পত্রিকায়। এই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত।
''ধান শালিকের দেশ'' ত্রৈমাসিক কিশোর পত্রিকা। বাংলা একাডেমী থেকে পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়।
ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সম্পাদিত পত্রিকার নাম আঙ্গুর। এটি একটি শিশু পত্রিকা।
ধূমকেতু, দৈনিক নবযুগ, লাঙ্গল-- কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত পত্রিকা।
বঙ্গদর্শন পত্রিকা প্রকাশিত হয় ১৮৭২ সালে। বঙ্গদর্শন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
তত্ত্বাবোধিনী পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৪৩ সালে ।তত্ত্বাবোধিনী পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। এই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন অক্ষয়কুমার দত্ত।
বাংলা ভাষার প্রথম সাময়িকপত্র হল ''দিগদর্শন''। এটি শ্রীরামপুর মিশন থেকে ১৮১৮ সালে প্রকাশিত হয়।
ধূমকেতু, দৈনিক নবযুগ, লাঙ্গল-- কাজী নজরুল ইসলামের সম্পাদিত পত্রিকা।
বাংলা সাহিত্য কথ্যরীতি প্রচলনে সবুজপত্র পত্রিকার অবদান বেশি। বাংলা সাহিত্য চলিত ভাষারীতির প্রথম মুখপত্র ''সবুজপত্র'' পত্রিকা ১৯১৪ সালে প্রমথ চৌধুরীর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়।
ঢাকা থেকে প্রকাশিত বাংলা সাহিত্য গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পত্রিকা হল-- শিখা, প্রগতি, ক্রান্তি, লোকায়ত।
কল্লোল প্রকাশিত হয়- ১৯২৩ সালে। কল্লোল পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন দীনেশ রঞ্জন দাস। কল্লোল পত্রিকাটি ১৯২৩ সাল থেকে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত সচল ছিল।
'মাসিক মোহাম্মদী'' মোহাম্মাদ আকরাম খাঁ এর সম্পাদনায় ১৯০৩ সালে প্রকাশিত হয়।
সাপ্তাহিক ‘সুধাকর’ এর সম্পাদক শেখ আবদুর রহিম। ১৮৯৪ সালে এটি প্রকাশিত হয়।
পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের কবর কবিতা প্রথম প্রকাশিত হয় কল্লোল পত্রিকায়।
বঙ্গদর্শন পত্রিকার প্রথম সম্পাদক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। এটি ১৮৭২ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়।
সঞ্জয় ভট্টাচার্য্য জন্মেছেন কুমিল্লায়। এ শহর থেকেই তাঁর সম্পাদনায়,উনিশ শত তিরিশের দশকের শুরুর দিকে যাত্রা শুরু করে পূর্বাশা পত্রিকা।
কল্লোল প্রকাশিত হয়- ১৯২৩ সালে। কল্লোল পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন দীনেশ রঞ্জন দাস। কল্লোল পত্রিকাটি ১৯২৩ সাল থেকে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত সচল ছিল।
তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ছিল ব্রাহ্মসমাজের তত্ত্ববোধিনী সভার মুখপত্র।ব্রাহ্মধর্মের প্রচার এবং তত্ত্ববোধিনী সভার সভ্যদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষার উদ্দেশ্যে ১৮৪৩ সালের ১৬ আগস্ট (১ ভাদ্র, ১৭৬৫ শক) অক্ষয়কুমার দত্তের সম্পাদনায় তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয়।
তত্ত্বাবোধিনী পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৪৩ সালে ।তত্ত্বাবোধিনী পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। এই পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন অক্ষয়কুমার দত্ত।
১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দের ২রা ডিসেম্বর কলকাতা থেকে, এটি প্রথমে মাসিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল। এর সম্পাদক ছিলে মোহাম্মদ নাসিরুদ্দিন। সে সময় এই পত্রিকাকে কেন্দ্র করে কলকাতায় একটি সাহিত্য চক্র গড়ে উঠে। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে কিছুদিন পত্রিকা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে পুনরায় প্রকাশিত হয়।
সমকাল পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন সিকান্দার আবু জাফর। বর্তমানে সমকাল যে পত্রিকা আছে তার সম্পাদক গোলাম সারোয়ার।
ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজের মুখপত্র হিসেবে ১৯২৭ সালে আবুল হোসেনের সম্পাদনায় ''শিখা'' পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এই ''শিখা'' পত্রিকার প্রতি সংখ্যায় ''জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব'' এই উক্তিটি লেখা থাকত।
বঙ্গদর্শন পত্রিকার প্রথম সম্পাদক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। এটি ১৮৭২ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়।
বঙ্গদর্শন পত্রিকার প্রথম সম্পাদক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। এটি ১৮৭২ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়।
বাংলা ভাষায় প্রথম প্রকাশিত দৈনিক সংবাদপত্র ''সংবাদ প্রভাকর''। পত্রিকাটি সাপ্তাহিকরূপে প্রথম আত্মপ্রকাশ করে ১৮৩১ সালে। ১৮৩৯ সালে এটি পরিণত হয় দৈনিক পত্রিকায়। এই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত।
Ans: 117th
Ans: 16th
Ans: 19th
Boibd (www.boibd.com) is an online platform for taking preparation of every government and non government job examination.
Here you will get questions with the solutions of BCS, BANK JOBS, TEACHER'S RECRUITMENT EXAMINATION, PSC and many others. It is also a useful medium to take preparation for University admission exam.
© boiBD, 2024 © All Rights Reserved. Privacy Policy | Terms of Use