মুঘল সাম্রাজ্যঃ
- মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা - জহিরউদ্দীন মুহাম্মদ বাবর
- বাবরের মৃত্যু পর বাংলার মসনদে উপবিষ্ট হন - নাসির উদ্দীন মুহম্মদ হুমায়ুন
- বাংলাদেশ মুঘল সাম্রাজ্যের অর্ন্তভুক্তি হয় -- রাজমহলের যুদ্ধের ফলে
- লালবাগ কেল্লার সামনের এক গম্বুজওয়ালা কারুকাজ মন্ডিত স্থাপত্য নিদর্শন - পরিবিবির মাজার
- লালবাগে পরিবিবির সমাধিসৌধ তৈরী করেন -শায়েস্তা খান
- পরিবিবি ছিলেন -নবাব শায়েস্তার খানের কন্যা
- পরিবিবির আসল নাম কি- ইরান দুখত
- পরিবিবির মৃত্যু হয় কোন সালে - ১৬৮৪ সালে
- শায়েস্তা খান ছিলেন - শাহজাহানের প্রধানমন্ত্রী আসক খানের ছেলে
- শায়েস্তা খানের পূর্ন নাম কি - মির্জা আবু তালেব ওর শায়েস্তা খান
- শায়েস্তা খান সুবেদার হয়ে বাংলায় আসেন - ১৬৬৪ সালে
- শায়েস্তা খান দ্বিতীয়বার ঢাকায় আসেন - ১৬৮০ সালে
- শায়েস্তা খান মোট বাংলায় থাকেন - মোট ২৪ বছর
- শায়েস্তা খান ঢাকায় থাকতেন -- মিডর্ফোড হাসপাতাল প্রাঙ্গনে, বুড়িগঙ্গার তীরে
- সুবাদার ইসলাম খান ঢাকায় রাজধানী স্থাপন করেন - ১৬১০ সালে
- কার আমলে লালবাগের শাহী মসজিদ নির্মিত হয় - যুবরাজ মোহাম্মদ আযম- এর আমলে
- শাহ মোহম্মদ আজম ছিলেন - সম্রাট আওরঙ্গজেবের তৃতীয় সন্তান
- শাহ মোহম্মদ আজম লালবাগ দূর্গের কাজ আরম্ভ করেন - ১৬৭৮ সালে
- শাহ মোহম্মদ আজম প্রথমে লালবাগ কেল্লার নামকরণ করেন - কিল্লা আওরঙ্গবাদ
- লালবাগ দুর্গ প্রাঙ্গনের দৈর্ঘ্য -পূর্ব-পশ্চিমে ১২০০ ফুট ও উত্তর - দক্ষিণে ৮০০ ফুট
- বিশ্ব বিখ্যাত মসলিন বস্ত্র তৈরী হত - মুঘল আমলে
- রাজস্ব আদায়ের জন্য ইজারাদারী প্রথা প্রবর্তন করেন - মুর্শিদকুলি খান
- সম্রাট আকবর বাংলা জয় করেন - ১৫৭৬ সালে
- শাহবাজ খান বাংলার সুবাদার নিযু্ক্ত হন - ১৮৫৩ সালে
- চট্টগ্রামের নাম ইসলামাবাদ রাখেন - শায়েস্তা খান
- মুঘল সাম্রাজ্যের শৌর্যবীর্যের প্রতীক সম্রাট আকবরের মৃত্যু হয় - ১৬০৫ সালে
- ঢাকার ধোলাই খাল খনন করেন - সুবেদর ইসলাম খান
- পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয় - ১৫৫৬ সালে
- পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয় - আকবরের সেনাপতি বৈরাম খান ও হিমুর মধ্যে
- পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয় - ১৭৬১ সালে
- পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয় - আহমেদ শাহ আবদালী ও মারাঠাদের মধ্যে
- শেরশাহ হুমায়ুন পরাজিত করে দিল্লীর সিংহাসন দখল করেন - কনৌজের যু্দ্ধ
- বাংলা জান্নাতাবাদ বলে ঘোষনা করেন - সম্রাট হুমায়ুন
- ভারতবর্ষে ঘোড়ার ডার প্রচলন করেন - শেরশাহ
- ‘গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড’নির্মান করেন-শেরশাহ
- ‘দাম’ নামক মুদ্রা দিল্লীর প্রচলিত ছিল-শেরশাহ এর সময়
- আকবর দিল্লীর সিংহাসনে বসার সময় তার বয়স -১৩ বছর
- সম্রাট আকবরের প্রবর্তিত ধর্মের নাম - দীন-ই-ইলাহী
- সমগ্র বাংলা ‘সুবহ-ই-বাঙ্গালাহ’ নামে পরিচিক ছিল- সম্রাট আকবর আমলে
- ‘জিজিয়া কর’ রহিত করেন - সম্রাট আকবর
- সম্রাট আকবরের রাজস্ব মন্ত্রী ছিলেন - টোডরমল।
- ‘অমৃতসর’স্বর্ণ মন্দির তৈরী হয় - সম্রাট আকবরের আমলে
- আকবর রাজপুত রমনীর পাণি গ্রহন করেছিলেন- জোধা বাঈ এর
- সম্রাট আকবরের সমাধি অবস্থিত - সেন্দ্রায়
- দিল্লীর ‘দেওয়ান-ই-আম’ ও ‘দেওয়ান-ই-খাস’ নির্মান করেন -সম্রাট শাহজাহান
- আগ্রার জামে মসজিদ নির্মান করেন - সম্রাট শাহজাহান
- ময়ূর সিংহাসনের নির্মাতা ছিলেন - সম্রাট শাহজাহান
- ময়ূর সিংহাসন লুন্ঠন করেন- পারস্যের নাদির শাহ (১৭৩৯)
- ময়ূর সিংহাসন বর্তমানে রক্ষিত আছে- ইরানে
- সর্বশেষ মোগল সম্রাট - দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ
- সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহের সমাধি কোথায় অবস্থিত- রেঙ্গুনে (ইয়াঙ্গুন), মায়ানমার
- মারাঠা বংশের শ্রেষ্ঠ নরপতি ছিলেন - শিবাজী
- শিবাজীর তরবারির আঘাতে কার আঙ্গুল কাটাঁ যায় - শায়েস্তা খানের
- হুসেনী দালাল (ইমাম বাড়ি) নির্মান করেন - মীর মুরাদ।
- ঢাকার সাত গম্বুজ মসজিদ কবে , নির্মান করেন- ১৬৮০ সালে, নবাব শায়েস্তা খাঁ
- কোন মুঘল সুবাদার ঢাকার নাম জাহাঙ্গীর নগর রাখেন- ইসলাম খান
- বাংলার বার ভুইয়ার মধ্যে শ্রেষ্ঠ ভুঁইয়া - ঈসা খান
- বাংলার রাজধানী রাজমহল থেকে ঢাকায় নিয়ে আসেন মীর জুমলা
- মুর্শিদকুলী খান বাংলার দেওয়ান নিযুক্ত হন-আওরঙ্গজেব রাজত্বকালে
- মুর্শিদকুলী খান স্বাধীনভাবে বাংলাদেশ শাসন করেন-আওরঙ্গজেব এর মৃত্যুর পর
- পর্তুগ্রীজদের চট্টগ্রাম থেকে বিতাড়িত করেন-শায়েস্তা খান
- বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব ছিলেন- মুর্শিদকুলী খান
- বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব ছিলেন- সিরাজউদ্দৌলা
- বড় কাটরা নির্মিত হয় - ১৬৪৪ সালে
- বড় কাটরা নির্মিত হয় - সুবেদার ইসলাম খান এর আমলে
- মুঘল সুবেদারদের প্রথম রাজধানী কোথায় ছিল - মুর্শিদাবাদ
বারো ভুঁইয়াঃ
মোগল সম্রাট আকবর-এর আমলে বাংলার বিভিন্ন অঞ্চল শাসনকারী কতিপয় জমিদার বা ভূস্বামী, বারো জন এমন শাসক ছিলেন, যাঁদেরকে বোঝানো হতো 'বারো ভূঁইয়া' বলে। বাংলায় পাঠান কর্রানী বংশের রাজত্ব দূর্বল হয়ে পড়লে বাংলাদেশের সোনারগাঁও, খুলনা, বরিশাল প্রভৃতি অঞ্চলে কিছু সংখ্যক জমিদার স্বাধীন রাজার মতো রাজত্ব করতে থাকেন। সম্রাট আকবর ১৫৭৫ সালে বাংলা দখল করার পর এসকল জমিদার ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোগল সৈন্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। 'বারো ভুঁইয়া' নামে পরিচিত এই সকল জমিদাররা হলেন:
- ঈসা খাঁ - খিজিরপুর বা কত্রাভূ
- প্রতাপাদিত্য - যশোর বা চ্যাণ্ডিকান
- চাঁদ রায়, কেদার রায় - শ্রীপুর বা বিক্রমপুর
- কন্দর্প রায় ও রামচন্দ্ররায় - বাক্লা বা চন্দ্রদ্বীপ
- লক্ষ্মণমাণিক্য - ভুলুয়া
- মুকুন্দরাম রায় ভূষণা বা ফতেহাবাদ
- ফজল গাজী - ভাওয়াল ও চাঁদপ্রতাপ
- হামীর মল্ল বা বীর হাম্বীর - বিষ্ণুপুর
- কংসনারায়ন - তাহিরপুর
- রামকৃষ্ণ - সাতৈর বা সান্তোল
- পীতম্বর ও নীলম্বর - পুঁটিয়া
- ঈশা খাঁ লোহানী ও উসমান খাঁ লোহানীঃ - উড়িষ্যা ও হিজলী
সম্রাট আকবর (১৫৫৬-১৬০৫) তাঁর জীবদ্দশায় সমগ্র বাংলার উপর মুঘল অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হননি।কারণ বাংলার বড় বড় জমিদারেরা স্বাধীনতা রক্ষার জন্যে মুঘলদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তেন।তাঁরা বারভূঁইয়া নামে পরিচিত। এখানে 'বারো' বলতে অনির্দিষ্ট সংখ্যা বুঝায়।
Share