বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভাষার অপপ্রয়োগ হতে পারে। যেমন:
১. শব্দ রূপান্তজাত অপপ্রয়োগ: দৈন্যতা, মাধুর্যতা, সমসাময়িক, উদ্ধেলিত, চোখের দৃষ্টিশক্তি, মাতাহারা।
২. শব্দদ্বিত্ব অপপ্রয়োগ : শুধু/কেমলমাত্র, অশ্রুজল, ঘামজল, ভুলত্রুটি, ভুলভ্রান্তি।
৩. সংখ্যাজাত অপপ্রয়োগ : ১ জুলাই/১লা জুলাই।
৪. বচনজাত অপপ্রয়োগ : বড় বড় মানুষরা সব, সকল/সমস্ত /সব যুদ্ধাপরাধীদের।
৫. নির্দেশকজাত অপপ্রয়োগ : এই লোকটি।
৬. সন্ধিজাত অপপ্রয়োগ : লজ্জাস্কর, ইতিমধ্যে, উল্লেখিত, দুরাবস্থা।
৭. সমাসজাত অপপ্রয়োগ : দেশ ও বিদেশে।
৮. উপসর্গজাত অপপ্রয়োগ : সুস্বাগতম, অক্লান্তি হীনভাবে, উপ-পরিচালক।
৯. বিভক্তিজাত অপপ্রয়োগ : আমাদেরকে, তাদেরকে, নারীদেরকে, বাড়িতে।
১০. প্রত্যয়জাত অপপ্রয়োগ : দৈন্যতা, দারিদ্রতা।
১১. চিহ্নজাত অপপ্রয়োগ : সুন্দরী বালিকা, আসমা অস্থিরা, অভাগিনী, কাঙালিনী।
১২. পক্ষজাত অপপ্রয়োগ : আমি অর্থাৎ হাসান জেনে শুনে ভুল করি না।
১৩. কারকজাত অপপ্রয়োগ : ছুরিতে, আমের কাননে।
১৪. বিসর্গজাত অপপ্রয়োগ : পুন:প্রচার।
১৫. সমোচ্চারিত অপপ্রয়োগ : তাড়া আমরাতলায় বসে আমরা খাওয়ার সময় মালির তারা খেয়েছে।
১৬. বাক্যজাত অপপ্রয়োগ : আমি স্বচক্ষে/নিজের চোখে।
১৭. বাচ্যজাত অপপ্রয়োগ : সূর্য পূর্বদিকে উদয় হয়।
১৮. এককথায় প্রকাশ অপপ্রয়োগ : চারিদিকে প্রদক্ষিণ, হাতে কলমে ব্যবহারিক শিক্ষা।
১৯. প্রবাদ অপপ্রয়োগ : স্বল্প বিদ্যা ভয়ংকরী।
২০. বাগধারা অপপ্রয়োগ : পাকা ধানে আগুন দেয়া।